জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই, ডাউনলোড ও সংশোধন করার নিয়ম: আজকে আমরা শিখব কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হয় অথবা দেখার নিয়ম কিংবা ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র উত্তোলন করার সঠিক নিয়ম । ভোটার আইডি কার্ড চেক করার মাধ্যমে বা জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি অথবা NID Card Checkসংগ্রহ করে সেটা দিয়ে আমরা অনেক ধরনের কাজ করতে পারব । যেমন আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাজ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সিম রেজিস্ট্রেশন করা, জীবনবৃত্তান্তে সঙ্গে সংযুক্ত করা বিকাশ একাউন্ট খোলা ইত্যাদি
জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই, ডাউনলোড ও সংশোধন করার নিয়ম
এখন থেকে অনলাইনেই আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন অথবা আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে – NID card download। তবে সে কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা দেখে নেই যে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড চেক বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ও চেক করার নিয়ম অথবা কিভাবে অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের সফটকপি অথবা হার্ড কপি সংগ্রহ করবেন।
আমার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে চাই । কিভাবে নতুন আইডি কার্ড দেখবো
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা সম্ভব। আপনি যদি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড অথবা চেক করতে চান অথবা দেখতে চান তাহলে সর্বপ্রথম যে জিনিস টা প্রয়োজন হবে সেটার কথা বলছি । ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার জন্য আবেদন করার সময় আপনি যে ফরমে আবেদন করেছিলেন সেখান থেকে একটা অংশ আপনাকে কেটে দেয়া হয়েছিল যাহার একটি ছবি নিচে দেওয়া হয়েছে।
এই ফর্মে একটি আট ডিজিটের ফরম নম্বর দেওয়া আছে যেটি অনলাইন ভোটার আইডি অথবা এন আইডি চেক করার জন্য অথবা ডাউনলোড করার জন্য প্রয়োজন হবে । আপনার কাছে যদি অলরেডি এনআইডি কার্ড থাকে তাহলে সেটা পেয়েছি নম্বর রয়েছে সেটি দিয়ে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন । ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি বের করতে চাইলে সম্পূর্ন পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করা সঠিক নিয়ম । ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম কানুন
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পূর্বে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আছে কি তা আগে যাচাই করে নিতে হবে । অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে চাইলে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে । নিজে নিজে ভোটার আইডি কার্ড দেখতে অথবা ডাউনলোড করতে চাইলে নিচের নমুনা ছবিটি লক্ষ করুন ।
উপরের ছবিতে প্রথম বক্সে “ফরম নম্বর বা এনআইডি নম্বর” মার্ক করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা ভোটার আইডি নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর লিখুন। এরপর জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পুরন করে ভোটার তথ্য দেখুন বাটনে চাপ দিন । তাহলে নিচে প্রদর্শিত ছবির মত করে আপনি আপনার ভোটার আইডি অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার জন্য তথ্য পেয়ে যাবেন ।
এখানে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেখতে পারবেন পাশাপাশি আপনার নাম এবং ভোটার নম্বর সেই সাথে এলাকার নাম দেখতে পারবেন । এ পর্যায়ে আপনাকে এন আই ডি নম্বর লিখে রাখতে হবে। এ পর্যায়ে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য এন আই ডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে । এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি আপনার ভোটার আইডি চেক করতে পেরেছেন। যদি আপনি এটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এখন আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করব । আইডি কার্ড বের করার নিয়ম দেখুন
এখন খেয়াল করুন এই পেজে উপরের অংশে মেনুবারে “রেজিস্টার” নামের মেনু রয়েছে এখানে ক্লিক করুন । তাহলে নিচে প্রদর্শিত ছবির মত পেজ আসবে । এবার সবকিছু ঠিকঠাক মতো পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন । এরপর ভোটার আইডি কার্ডের রেজিস্ট্রেশন অথবা নিবন্ধন করার সময় যেসকল তথ্য দিয়ে পূরণ করেছিলেন সেগুলো ঠিক ভাবে দিয়ে সাবমিট করুন। এরপর ভোটার আইডি নিবন্ধন এর সময় যে মোবাইল নম্বরটি দিয়েছিলেন সেটি দিন অথবা নতুন একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিন।
এনআইডি জন্য ফেইস ভেরিফিকেশন করার প্রক্রিয়া । ভোটার আইডি ভেরিফিকেশন করার নিয়ম
মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবার পর এবার আমাদের পালা ফেস ভেরিফিকেশন করা । এই কাজটি করার জন্য আপনার স্মার্টফোনে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে যেটির নাম হচ্ছে “NID Wallet”। মোবাইল অ্যাপ টি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। নিশ্চয় আপনি এতক্ষণে “NID Wallet” অ্যাপ টি ডাউনলোড করে নিয়েছেন।
এখন আপনি উপরে প্রদর্শিত ছবির মত ছবি বা পেজ দেখতে পারবেন যেখানে আপনার এনআইডি কার্ডের কিউ আর কোড দেওয়া থাকবে। সেটিকে আপনার মোবাইলে থাকা এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপ এর মাধ্যমে স্ক্যান করতে হবে। কিউআর কোডটি স্ক্যান করার পর মোবাইলে পরবর্তী স্টেপগুলো অনুসরণ করে কাজ সম্পন্ন করুন ।
এনআইডি ওয়ালেট এর মাধ্যমে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনি নিচে প্রদর্শিত ছবির মত একটি প্রফাইল পেজ দেখতে পাবেন । এখান থেকে আপনি আপনার এন আইডি কার্ড অথবা ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন ।
এছাড়াও এখান থেকে আপনি চাইলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অথবা এনআইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রটি পরিবর্তন, ভুল সংশোধন, ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।
কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য পরিবর্তন অথবা ভুল সংশোধন করতে হয় তা দেখে নিন ।
এখানে ডাউনলোড নামের অপশনটি রয়েছে সেখানে চাপ দিয়ে আপনার ভোটার আইডি টি ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড বাটনে চাপ দিলে আপনি এখান থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বা ভোটার আইডি কার্ডের সফটকপি তা জাতীয় পরিচয় পত্র পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এবং সেটি আপনি প্রিন্ট করে যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। নিশ্চয় এতক্ষণে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড কার্য সম্পন্ন করেছেন। এনআইডি কার্ড সম্পর্কে আরও কিছু জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এর উত্তর জেনে নিন।
কিভাবে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন (Source)। জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 2023
অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন তবে স্মার্ট আইডি কার্ড বের করা যাবে না। কারন আমার আইডি কার্ডে সাধারণত সিম কার্ড লাগানো থাকে সেটা একটা প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করে বের করা সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি এখনও স্মার্ট কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন তবে আপনি পাবেন। এর জন্য উপরের প্রদর্শিত নিয়ম অনুসরণ করেই আপনাকে দেখে নিতে হবে কোন দিন আপনি স্মার্ট কার্ড পাবেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে কার্ড বিতরণের তথ্য দেখুন নামে একটা অপশন পাবেন সেখানে চাপ দিলে আপনি আপনার কার্ড বিতরণের তথ্য গুলো দেখতে পাবেন। যেহেতু স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করে বের করা সম্ভব নয় তাই শুধু শুধু কিভাবে অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবো এগুলো লিখে সময় নষ্ট করবেন না।
NID কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৩
এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৩: একটি দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার পরিচয় বহন করে জাতীয় পরিচয় পত্র। জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে আপনার সকল তথ্য সরকারি নথিতে সংরক্ষিত থাকে আপনি যে ভোটার এলাকার আওতাভুক্ত এলাকা থেকে আপনার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন করা হয়।
NID কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
তবে কোনো কারণবশত যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা ভুল করে থাকে। এ অবস্থায় সে তার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবে। তবে মনে রাখবেন অনলাইনে আপনি শুধুমাত্র আপনার হাউজ নং এবং পোস্ট অফিস পরিবর্তন করতে পারবেন অন্য কোনো ঠিকানা যেমন জেলা-উপজেলা ইত্যাদি কোন ভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
তবে সম্পূর্ণ ঠিকানা যেমন স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রর ঠিকানা পরিবর্তন ফরম মাইগ্রেশন ফর্ম জমা দিতে হবে। অন্যদিকে অনেকেই রয়েছেন যারা জরুরি কারণ বাড়ির বাইরে অবস্থানরত অবস্থায় বাড়ির বাইরে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করেছেন, এছাড়া বদলির কারণে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে হয়েছে।
সুতরাং আপনারা বর্তমান অবস্থা বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আজকে আর্টিকেলে আমরা আপনাদের দেখাবো কিভাবে অনলাইনে ঘরে বসে থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন কর আবেদন করা যায়।
অনলাইনে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের নিয়ম
আমরা আগেই বলেছি যে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন বলতে শুধুমাত্র আপনার বাড়ির নাম্বার ডাকঘর এবং পোস্ট কোড পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়াও ভোটার এলাকা উপজেলা জেলা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের সম্পূর্ণ ঠিকানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। আলোচনার আপনাদের দেখাবো কিভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয় ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে পাঁচটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে এবং তা সঠিকভাবে চলতে হবে নির্দেশনা অনুযায়ী।
- ঠিকানা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- আপনার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন বা ইউটিলিটি বিল এর কপিটা জাতীয়তার সার্টিফিকেট হিসেবে আপনার ঠিকানা পরিবর্তন করুন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে তা জমা দেন।
- সকল তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করুন এবং তা নির্ধারিত স্থানে আপলোড করুন
অনলাইনে এনআইডি আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন
প্রথমে আপনাকে বলে রাখি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড পরিবর্তন সম্পূর্ণ অনলাইনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা সম্ভব। তাই আপনি একটি কম্পিউটার অথবা মোবাইল থেকে আবেদন করতে পারবেন অবশ্যই ইন্টারনেট কানেক্টেড হতে হবে।
- ঠিকানা পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র অফিশিয়াল services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইট রয়েছে সাইটে প্রবেশ করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও পাসওয়ার্ড প্রদান করে আপনার একাউন্টে লগইন করতে হবে।
- আপনার প্রোফাইলে আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে যেখানে আপনার নাম জন্মতারিখ বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন।
- আপনাকে সেলফি তুলে নিজের মুখ যাচাই করতে হবে।
- ঠিকানা অপশনে ক্লিক করুন।
- এডিট করার লক্ষ্যে বাটনে ক্লিক করুন আপনাকে ইডিট করার অপশন দেয়া হবে অর্থাৎ তথ্য পরিবর্তন করার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে।
- আপনি যদি বর্তমান ঠিকানা ঠিক রাখতে চান তাহলে তা টিক দিন আর যদি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান তাহলে তার পাশে মার্ক করুন।
- পরবর্তীতে আপনার বাসা হোল্ডিং নাম্বার পোস্ট অফিস এবং পোস্ট কোড সঠিকভাবে লিখুন।
- এরপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনার পরিবর্তন করার ঠিকানা সমূহ আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে যদি সবকিছু সঠিক থাকে তাহলে পরবর্তী পেজে প্রবেশ করুন।
- এই ওয়েব পেজে আপনাকে ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য যে নির্ধারিত ফি করা হয় ধার্য করা হয়েছে তা প্রদান করতে হবে আপনি বিকাশ রকেট মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য পরিবর্তনের 230 টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
- অবশেষে আপনার দেওয়া তথ্যগুলো পরিবর্তন হয়েছে।
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন ফরম
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা চাকরি গত কারণে বা অন্য কোনো কারণে নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান এ অবস্থায় আপনাকে অনলাইন থেকে একটি সব পূরণ করতে হবে এবং উক্ত যথাযথ তথ্য দিয়ে সংযুক্ত করতে হয় একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আপনি অবশ্যই চাইবেন স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার টিপস পেতে।
তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করার ফরম সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করেছে আমরা আশা করবো আপনি তা এখান থেকে সংগ্রহ করবেন এবং আপনার স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করবেন।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩
আপনার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে যদি ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান আপনাকে নিচের দেখানো ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন ফরম মাইগ্রেশন ফর্ম 13 পূরণ করে আপনার বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন অফিসে জমা দান করতে হবে। এটি পেতে হলে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
অতঃপর ফর্ম এই অপশনে ক্লিক করুন আপনার সন্তান উপস্থিত হবে যেখানে আপনার উপজেলা থানা নির্বাচন কমিশনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ফর্ম দেওয়া হবে। আপনি যেহেতু তথ্য পূরণ করবেন তাই প্রতিটি স্থানে যথাযথ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেমন আপনার নাম জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর জন্ম তারিখ বর্তমান ঠিকানা এবং ঠিকানায় আপনি স্থানান্তর হচ্ছেন সেই ঠিকানা ইত্যাদি সকল তথ্য।
যেসব কারণে আপনার ভোটার এলাকা বা পাওয়ার তোমার ঠিকানা পরিবর্তন করতে হতে পারে
- বাসা পরিবর্তন
- বিয়ের কারণে ঠিকানা পরিবর্তন
- চাকরির স্বার্থে অন্য কোথাও বদলি হওয়া
উপরে দেওয়া তথ্যগুলো ভিত্তিতে আপনি সহজে জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন বলে আশা করছি। জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমরা যেকোন সমস্যার সমাধান করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।
ভোটার তথ্য ও ভোটার সিরিয়াল নাম্বার দেখার উপায়
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলাচনা করব তা হলো “ভোটার তথ্য ও সিরিয়াল নাম্বার দেখার উপায়” আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ভোটার তথ্য অনলাইনে জানতে পারবেন। ভোট দেয়ার জন্য আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় ভোটার নম্বরের। আপনি চাইলে এই ভোটার নম্বর অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই দেখে নিতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার
ভোটার নম্বর হলো সেই নম্বর যেটি দিয়ে আপনি ভোট দিতে পারবেন। আপনার এলাকার ভোটার তালিকায়ে আপনার নামে যে ভোটার নাম্বার রয়েছে, সেটিই হলো আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার। আপনি যখন ভোট দিতে যাবেন, তখন আপনাকে আপনার এই ভোটার নাম্বার (Voter Number) জিজ্ঞেস করা হবে এবং সেই নাম্বার অনুসারে আপনার ভোট প্রদান করা হবে।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার উপায়
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার জন্য আপনাকে নিচের দেখানো ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
(১) Bangladesh NID Application System ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: ভোটার সিরিয়াল নাম্বার চেক করার জন্য ভিজিট করুন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার ওয়েবসাইট
(২) জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর দিন: ভোটার তথ্য দেকার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর প্রদান করুন ১ম বক্সে, তারপর আপনার জন্ম তারিখ লিখুন ২য় বক্সে এরপর, ছবিতে দেখানো ক্যাপচা কোডটি লিখে ভোটার তথ্য দেখুন বাটনে ক্লিক করুন।
(৩) আপনার কাঙ্খিত ভোটার নম্বরটি দেখুন : আপনার ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে থাকলে এবং প্রদানকৃত তথ্য সঠিক থাকলে ডান পাশে আপনার ভোটার তথ্য ও ভোটার সিরিয়াল নম্বর দেখতে পাবেন।
উপরের এই ৩টি ধাপ অনুসরণ করে আপনি সহজেই ভোটার নম্বর বের করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল তথ্য সংশোধন প্রক্রিয়া ২০২৩
বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশে এখন প্রায় এগারো কোটি মানুষের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র যেভাবে সংশোধন করবেন জেনে নিন!
কিন্তু প্রায়শই কার্ডে নানা ভুলের অভিযোগ পাওয়া যায়। যেমন ভুলের জন্য বাবার বয়স ছেলের চেয়ে দশ বছর কম হয়ে গেছে, মায়ের নামের জায়গায় বসে গেছে বাবার নাম।
ফেসবুকে জাতিয় পরিচয়পত্র বিষয়ক বেশ কটি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে অনেকেই এসব বিষয়ে লিখছেন। অনেক সময় ব্যক্তি নিজেই হয়ত ভুলটা করেন অথবা সার্ভারে তথ্য যোগ করার সময়ও হয়ত ভুল হতে পারে।
কিন্তু তথ্যে একবার ভুল হয়ে গেলে অনেকরকম বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় বাড়ির ঠিকানা বদল, বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি নানা কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের দরকার পড়তে পারে।
ভুলের শিকার কয়েক জনের অভিজ্ঞতা:
বিদেশ পড়তে যাওয়ার জন্যে ই-পাসপোর্ট করাতে গিয়েছিলেন মোঃ রাকিবুল ইসলাম। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জানতে পারলেন অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
- মি. ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্রে একটা হ্রস্ব উ-কার বাদ পড়ায় বাবার নাম হয়ে গেছে ‘নরুল ইসলাম’। তার রক্তের গ্রুপও ভুল লেখা ছিল। অতএব পাসপোর্ট করতে দেবার আগে তাকে এনআইডি সংশোধন করতে হবে।
- মি. ইসলাম বলছেন, “ওনারা যখন বাসায় এসে আমার তথ্য নেয় তখন বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো হয়েছিল। তাই আমার মনে হয় ভুলটা ওনারাই করেছেন।”
- এমাসের শুরুর দিকে অনলাইনে বাবার নামের বানান সংশোধনের জন্য কাজ শুরু করলেন।
- নির্ধারিত ফি জমা ও যাবতীয় কাগজপত্র সেখানে আপলোড করার দশদিন পর মেসেজ পেলেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন হয়ে গেছে।
- কিন্তু ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলেন যে ভুল ছিল সেটাই রয়ে গেছে। হেল্প-লাইনে ফোন করে জানলেন জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে ‘টেকনিকাল’ সমস্যা হয়েছে।
এই সপ্তাহে তথ্য সংশোধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. ইসলাম।
জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য ভুল হলে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়।
- ঢাকার বাসিন্দা পারিসা গিয়াস সম্প্রতি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে। সেসময় হঠাৎ খেয়াল করলেন এনআইডি কার্ডে তার বাবার নামের বানান ভুল রয়েছে।
- দন্ত্য স বাদ পড়ায় গিয়াসউদ্দিন হয়ে গেছে ‘গিয়াউদ্দিন’। এরপর তিনি তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রেও ভুল খুঁজে পেলেন।
- বাংলায় নামের বানান ঠিকই ছিল কিন্তু ইংরেজিতে নামটির বানান হয়েছে ‘দৌলতুনসা’। তিনিও অনলাইনে তথ্য সংশোধন করেছেন।
যেভাবে তথ্য সংশোধন করতে পারেন:
ইতোমধ্যেই নিশ্চয়ই জেনে গেছেন এখন অনলাইনেই তথ্য সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। শুরুতেই এনআইডি পোর্টালে ঢুকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
সেখানে এনআইডি নম্বরটি দরকার হবে। অ্যাকাউন্টে ঢুকলে সেখানে লিংক পাবেন অনলাইনে অর্থ পরিশোধের। ওকে ওয়ালেট ও রকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করা যায়। সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে যেসব তথ্য লেখা থাকে সেগুলোর যেকোনো একটি সংশোধন করতে চাইলে প্রথমবার আবেদনের জন্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরবর্তী যতবার আবেদন করবেন ৪০০ টাকা ফি দিতে হবে।
এছাড়া আরও কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো পরিচয়পত্রে লেখা থাকে না। সেগুলোও সংশোধন করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রথমবার ১০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরবর্তীতে প্রতিবার ৩০০ টাকা ফি দিতে হবে।
ফি পরিশোধ হয়ে গেলে এডিট করার লিংকে তথ্য চলে যাবে। এরপর আপনি তথ্য সংশোধন অপশনে যেতে পারবেন। সংশোধনের জন্য কিছু কাগজের কপি আপলোড করতে হবে। যা কারণভেদে ভিন্ন।
যেমন নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্র, পাসপোর্টের কপি, ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বিদ্যুৎ বা পানির বিলের কাগজ, বিয়ের পর স্বামীর নাম যোগ করতে চাইলে নিকাহনামা, স্বামীর জাতিয় পরিচয়পত্রে ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে, বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে তালাকনামা সংযুক্ত করতে হবে।
কোন ধরনের সংশোধনে কি কাগজ লাগবে সেটি ওয়েবসাইটেই দেয়া রয়েছে। তথ্য সংশোধন অনুমোদন হয়ে গেলে আপনি একটি মেসেজ পাবেন।
ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেই সংশোধিত এনআইডি প্রিন্ট করে লেমিনেট করে নিতে পারেন।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট
এখন অনলাইনেই তথ্য সংশোধন করা যায়।
ইন্টারনেট না থাকলে যা করতে হবে:
বাংলাদেশে সবার ইন্টারনেট ব্যাবহারের সামর্থ্য নেই। অথবা অনেকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাদের জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচন অফিস রয়েছে।
সেখানে দুইজন করে ‘ডাটা এন্ট্রি অপারেটর’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
“তারাই সবধরনের ডাটা এন্ট্রিতে সহযোগিতা করবেন। তাদের সেভাবে বলা আছে। এটা পুরোটাই বিনামূল্যে করবেন তারা। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন কাউন্সিলে যে ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে সেখানেও যাতে নাগরিকেরা অনলাইনে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা পান সেই পরিকল্পনা করছি আমরা।”
কিন্তু ভুল কমানোর জন্য কি করা হচ্ছে?
এই প্রশ্নের জবাবে মি. ইসলাম বলেন, যখন প্রথম এনআইডি বিতরণ শুরু হয়েছিল, একদম নতুন একটা কাজ, সেসময় বেশ কিছু ভুল হয়েছিল।
কিন্তু এখন ভুলের সংখ্যা অনেক কম বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলছেন, কয়েক ধাপে তথ্য যাচাই হয়।
“জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদনকারী নিজে ফর্ম পূরণ করেন, সেই তথ্য সার্ভারে তোলেন একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, এরপর একজন প্রুফ রিডার সেটা যাচাই করেন এবং তারপর সেসব তথ্য সার্ভারে আপলোড করা হয়। আবেদনকারীকে যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি দিতে আসবেন সেসময় তাকে একটি প্রিন্ট আউট দেয়া হয় তথ্য যাচাই করার জন্য। সেই কপিতেও সই করেন তিনি। এই কারণে ভুলের সংখ্যা খুবই কম।”
এছাড়া service.nidw.gov.bd খুলে সকল তথ্য ও কাগজ সংযুক্ত করে নতুন এনআইডি কার্ড নিজেই এখন ঘরে বসে করা সম্ভব বলে তিনি জানিয়েছেন।
আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে, ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করে দিন। ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্য!
ভোটার তথ্য ও ভোটার সিরিয়াল নাম্বার দেখার উপায়
ভোটার তথ্য ও ভোটার সিরিয়াল নাম্বার দেখার উপায়: আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলাচনা করব তা হলো “ভোটার তথ্য ও সিরিয়াল নাম্বার দেখার উপায়” আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ভোটার তথ্য অনলাইনে জানতে পারবেন। ভোট দেয়ার জন্য আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় ভোটার নম্বরের। আপনি চাইলে এই ভোটার নম্বর অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই দেখে নিতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার
ভোটার নম্বর হলো সেই নম্বর যেটি দিয়ে আপনি ভোট দিতে পারবেন। আপনার এলাকার ভোটার তালিকায়ে আপনার নামে যে ভোটার নাম্বার রয়েছে, সেটিই হলো আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার। আপনি যখন ভোট দিতে যাবেন, তখন আপনাকে আপনার এই ভোটার নাম্বার (Voter Number) জিজ্ঞেস করা হবে এবং সেই নাম্বার অনুসারে আপনার ভোট প্রদান করা হবে।
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার উপায়
ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার জন্য আপনাকে নিচের দেখানো ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
(১) Bangladesh NID Application System ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: ভোটার সিরিয়াল নাম্বার চেক করার জন্য ভিজিট করুন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার ওয়েবসাইট
(২) জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর দিন: ভোটার তথ্য দেকার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর প্রদান করুন ১ম বক্সে, তারপর আপনার জন্ম তারিখ লিখুন ২য় বক্সে এরপর, ছবিতে দেখানো ক্যাপচা কোডটি লিখে ভোটার তথ্য দেখুন বাটনে ক্লিক করুন।
(৩) আপনার কাঙ্খিত ভোটার নম্বরটি দেখুন : আপনার ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে থাকলে এবং প্রদানকৃত তথ্য সঠিক থাকলে ডান পাশে আপনার ভোটার তথ্য ও ভোটার সিরিয়াল নম্বর দেখতে পাবেন।
উপরের এই ৩টি ধাপ অনুসরণ করে আপনি সহজেই ভোটার নম্বর বের করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল তথ্য সংশোধন প্রক্রিয়া ২০২৩
বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশে এখন প্রায় এগারো কোটি মানুষের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র যেভাবে সংশোধন করবেন জেনে নিন!
কিন্তু প্রায়শই কার্ডে নানা ভুলের অভিযোগ পাওয়া যায়। যেমন ভুলের জন্য বাবার বয়স ছেলের চেয়ে দশ বছর কম হয়ে গেছে, মায়ের নামের জায়গায় বসে গেছে বাবার নাম।
ফেসবুকে জাতিয় পরিচয়পত্র বিষয়ক বেশ কটি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে অনেকেই এসব বিষয়ে লিখছেন। অনেক সময় ব্যক্তি নিজেই হয়ত ভুলটা করেন অথবা সার্ভারে তথ্য যোগ করার সময়ও হয়ত ভুল হতে পারে।
কিন্তু তথ্যে একবার ভুল হয়ে গেলে অনেকরকম বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় বাড়ির ঠিকানা বদল, বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি নানা কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের দরকার পড়তে পারে।
ভুলের শিকার কয়েক জনের অভিজ্ঞতা:
বিদেশ পড়তে যাওয়ার জন্যে ই-পাসপোর্ট করাতে গিয়েছিলেন মোঃ রাকিবুল ইসলাম। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জানতে পারলেন অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
- মি. ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্রে একটা হ্রস্ব উ-কার বাদ পড়ায় বাবার নাম হয়ে গেছে ‘নরুল ইসলাম’। তার রক্তের গ্রুপও ভুল লেখা ছিল। অতএব পাসপোর্ট করতে দেবার আগে তাকে এনআইডি সংশোধন করতে হবে।
- মি. ইসলাম বলছেন, “ওনারা যখন বাসায় এসে আমার তথ্য নেয় তখন বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানো হয়েছিল। তাই আমার মনে হয় ভুলটা ওনারাই করেছেন।”
- এমাসের শুরুর দিকে অনলাইনে বাবার নামের বানান সংশোধনের জন্য কাজ শুরু করলেন।
- নির্ধারিত ফি জমা ও যাবতীয় কাগজপত্র সেখানে আপলোড করার দশদিন পর মেসেজ পেলেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন হয়ে গেছে।
- কিন্তু ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখলেন যে ভুল ছিল সেটাই রয়ে গেছে। হেল্প-লাইনে ফোন করে জানলেন জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে ‘টেকনিকাল’ সমস্যা হয়েছে।
এই সপ্তাহে তথ্য সংশোধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. ইসলাম।
জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য ভুল হলে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়।
- ঢাকার বাসিন্দা পারিসা গিয়াস সম্প্রতি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে। সেসময় হঠাৎ খেয়াল করলেন এনআইডি কার্ডে তার বাবার নামের বানান ভুল রয়েছে।
- দন্ত্য স বাদ পড়ায় গিয়াসউদ্দিন হয়ে গেছে ‘গিয়াউদ্দিন’। এরপর তিনি তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রেও ভুল খুঁজে পেলেন।
- বাংলায় নামের বানান ঠিকই ছিল কিন্তু ইংরেজিতে নামটির বানান হয়েছে ‘দৌলতুনসা’। তিনিও অনলাইনে তথ্য সংশোধন করেছেন।
যেভাবে তথ্য সংশোধন করতে পারেন:
ইতোমধ্যেই নিশ্চয়ই জেনে গেছেন এখন অনলাইনেই তথ্য সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। শুরুতেই এনআইডি পোর্টালে ঢুকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
সেখানে এনআইডি নম্বরটি দরকার হবে। অ্যাকাউন্টে ঢুকলে সেখানে লিংক পাবেন অনলাইনে অর্থ পরিশোধের। ওকে ওয়ালেট ও রকেটের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করা যায়। সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে যেসব তথ্য লেখা থাকে সেগুলোর যেকোনো একটি সংশোধন করতে চাইলে প্রথমবার আবেদনের জন্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরবর্তী যতবার আবেদন করবেন ৪০০ টাকা ফি দিতে হবে।
এছাড়া আরও কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো পরিচয়পত্রে লেখা থাকে না। সেগুলোও সংশোধন করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রথমবার ১০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরবর্তীতে প্রতিবার ৩০০ টাকা ফি দিতে হবে।
ফি পরিশোধ হয়ে গেলে এডিট করার লিংকে তথ্য চলে যাবে। এরপর আপনি তথ্য সংশোধন অপশনে যেতে পারবেন। সংশোধনের জন্য কিছু কাগজের কপি আপলোড করতে হবে। যা কারণভেদে ভিন্ন।
যেমন নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদপত্র, পাসপোর্টের কপি, ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বিদ্যুৎ বা পানির বিলের কাগজ, বিয়ের পর স্বামীর নাম যোগ করতে চাইলে নিকাহনামা, স্বামীর জাতিয় পরিচয়পত্রে ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে, বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে তালাকনামা সংযুক্ত করতে হবে।
কোন ধরনের সংশোধনে কি কাগজ লাগবে সেটি ওয়েবসাইটেই দেয়া রয়েছে। তথ্য সংশোধন অনুমোদন হয়ে গেলে আপনি একটি মেসেজ পাবেন।
ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেই সংশোধিত এনআইডি প্রিন্ট করে লেমিনেট করে নিতে পারেন।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট
এখন অনলাইনেই তথ্য সংশোধন করা যায়।
ইন্টারনেট না থাকলে যা করতে হবে:
বাংলাদেশে সবার ইন্টারনেট ব্যাবহারের সামর্থ্য নেই। অথবা অনেকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাদের জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচন অফিস রয়েছে।
সেখানে দুইজন করে ‘ডাটা এন্ট্রি অপারেটর’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
“তারাই সবধরনের ডাটা এন্ট্রিতে সহযোগিতা করবেন। তাদের সেভাবে বলা আছে। এটা পুরোটাই বিনামূল্যে করবেন তারা। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন কাউন্সিলে যে ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে সেখানেও যাতে নাগরিকেরা অনলাইনে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা পান সেই পরিকল্পনা করছি আমরা।”
কিন্তু ভুল কমানোর জন্য কি করা হচ্ছে?
এই প্রশ্নের জবাবে মি. ইসলাম বলেন, যখন প্রথম এনআইডি বিতরণ শুরু হয়েছিল, একদম নতুন একটা কাজ, সেসময় বেশ কিছু ভুল হয়েছিল।
কিন্তু এখন ভুলের সংখ্যা অনেক কম বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলছেন, কয়েক ধাপে তথ্য যাচাই হয়।
“জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদনকারী নিজে ফর্ম পূরণ করেন, সেই তথ্য সার্ভারে তোলেন একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, এরপর একজন প্রুফ রিডার সেটা যাচাই করেন এবং তারপর সেসব তথ্য সার্ভারে আপলোড করা হয়। আবেদনকারীকে যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি দিতে আসবেন সেসময় তাকে একটি প্রিন্ট আউট দেয়া হয় তথ্য যাচাই করার জন্য। সেই কপিতেও সই করেন তিনি। এই কারণে ভুলের সংখ্যা খুবই কম।”
এছাড়া service.nidw.gov.bd খুলে সকল তথ্য ও কাগজ সংযুক্ত করে নতুন এনআইডি কার্ড নিজেই এখন ঘরে বসে করা সম্ভব বলে তিনি জানিয়েছেন।
আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে, ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করে দিন। ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্য!